গোসানিমারীর শালবন
হঠাং পরিল মনে
এবার বন ভোজনে ।
ঘুরে আশা যাক
গোসানিমারীর শালবনে ।।
সারি সারি শাল গাছ
পশ্চিমা বাতার্স বায় ।
পৌষ মাঘ আসলে সেখানে
মানুষ বন ভোজন খায় ।।
লম্বা লম্বা শাল গাছ
তাল গাছের মতো সোজা ।
জ্বালানির অভাবে গরিবেরা
কাঠ কাটে বোঝা বোঝা ।।
ছোট ছোট আছে বানড়
এ গাছ ঐ গাছ ঝাপে ।
ডাল ভেঙ্গে ভয় দেখালে
থর থরিয়া কাঁপে ।।
ক্যাচ ম্যাচ করে বাদুর
গাছের আগালে বসে চিল ।
কুহু কুহু কুকিলের কন্ঠশুরে
ভরে যায় দিল ।।
পাখ পাখালি বাসা বাধঁছে
খোদাই-ধোঁনের তলে।
দুপুর হলে চাতক পাখি
ফটিক জল ফটিক জল বলে ।।
ময়না ডাকে,তোতা ডাকে
আরও ডাকে টিয়া ।
কাঠ ঠোকরা ঠোক ঠোক করে
দেখব আমরা সাল বাগানে গিয়া ।।
বন বিড়াল আর সাপ শেয়াল
রাত্রিতে করে বেড়া বেরি ।
সূর্য ডুবলো রাত্রি হলো
শাল বাগানে কর না আর দেরি ।।
পশ্চিমবঙ্গের ফরেস্ট গাড
আছে কয়েক জন ।
সুন্দর নিরাপত্তায় তারা বাঁছিয়া রখছে
গোসানিমারীর শালবন ।।
0 Comments